দুধ দিয়ে গোসল করে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগদান

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) শহরের ধানুকা এলাকায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাসিরউদ্দিন কালুর বাসভবনের সামনে তিনি দুধ দিয়ে গোসল করেন।আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেওয়া ওই কর্মীর নাম হাসেম সরদার (৬০)।


তিনি শরীয়তপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের-সহ সভাপতি ছিলেন। তবে ওই কমিটিতে তার নাম দেখা যায়নি। তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা। হাসেম সরদারের দুধ দিয়ে গোসলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায় তিনি মাথায় দুধ ঢেলে গোসল করছেন। এসময় তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিএনপিতে যোগদানের ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন: অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে মান্নার শেষ সিনেমা

প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে হাসেম সরদার জানান আমার বাবা সাধনা ঔষধালয়ে চাকরি করতেন। তখন ১৯৭১ সাল, আমার বয়স তখন ৬-৭ বছর। ছোট্ট বয়সে বাবার কাছে বায়না ধরেছিলাম ৭ মার্চের ভাষণ শুনতে যাব। বাবা বলেছিল, মিছিলে যে মানুষ হয়, তাতে পিষ্ট হয়ে অনেকে মারা যায়। তোমাকে আমি রাখব কোথায়! তখন বাবাকে বলেছিলাম আমি ট্রাক থেকে নামব না। তখন থেকে আমি আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে যাই।

দীর্ঘদিন প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ও ঢাকার সূত্রাপুরের নেতা নাছির ভাইয়ের সাথে রাজনীতি করেছি। সূত্রাপুর থানার ৮৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা ছিলাম। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের সাথে মিছিলে আমিও ছিলাম। তারপর গ্রামে আসার পর শরীয়তপুরের বর্তমান এমপি ইকবাল হোসেন অপুর সমর্থক হয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কাজ করেছি।

আরও পড়ুন: ড.ইউনূসের পাশে দাঁড়াতে বিশ্বনেতাদের প্রতি হিলারি ক্লিনটনের আহ্বান

অপু সাহেব এমপি হওয়ার আগে বলেছিলেন, দুর্দিনের কর্মীদের মূল্যায়ন করবেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। জীবনে ২১ বার জেল খেটেছি, ছয়টি বছর জেলে বন্দি ছিলাম আওয়ামী লীগ করার কারণে। আমাকে মূল্যায়ন করা হয়নি, পদ-পদবি দেওয়া হয়নি। মাটি কেটে খাই আমি। যে আওয়ামী লীগের জন্য এত কিছু করলাম সেই আওয়ামী লীগ আমাকে কিছুই দিলো না। রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে আমি আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করে দুধ দিয়ে গোসল করে বিএনপিতে যোগদান করেছি।